কিছুটা গল্প , কিছুটা স্মৃতি - ontechbd.com

Latest

Alive for Technology

Tuesday, July 2, 2019

কিছুটা গল্প , কিছুটা স্মৃতি

কিছুটা গল্প , কিছুটা স্মৃতি, বাকীটা স্বপ্ন
আমাদের সেই গ্রামের ?
মন শুধু যেতে চাই সেই গ্রামে,
অতীতের সব স্মৃতি পড়ে আছে যেখানে ৷
বুঝিনি তোমার মায়া ,যখন ছিলাম তোমার কোলে ৷
এত সুন্দর সেই গ্রাম ৷
কি করে ফেলে আছি এত দূরে?
আকা বাকা পথ,
চারদিকে সবুজ ধানের ক্ষেত,
কিছু গাছ গাছালি আর
উচু নিচু রাস্তাই হল এলাকার প্রধান বৈশিষ্ট ।
এ সব দৃশ্য দেখে মন জুড়িয়ে যায়।
উচু নিচু রাস্তা আনাচে কানাচে যেন সবুজ শ্যমলের খেলা।
এসকল দৃশ্যের মধ্যে আমার বেড়ে উঠা ।
তাই সেই এলাকাটা আমার কাছে খুবই প্রিয়
আম, কাঁঠাল ,পেয়ারা, লিচু ,বাতাবি লেবু,
নারকেল, সুপারি, মেহগনি
আরও কত নাম জানা, নাম
না জানা গাছেরা মায়া মমতায় আছে জড়াজড়ি করে।
শীতল হাওয়া যুক্ত বাতাস প্রবাহিত হয় ৷
বাতাসে কী আশ্চর্য পার্থক্য।
সারারাত, সারাটাদিন
এরা পাতা নাড়ছে আর নাড়ছে-ডাকছে
আয়, আয়!
ভোর বেলা জেগে দেখি
দোয়েল শ্যামা ডাকে
মুহুমুহু আওয়াজ শুনি
সবুজ পাতার ফাঁকে।
দখিনা হাওয়া যায় বয়ে যায়
শীতল করে দেহ
লাঙ্গল কাঁধে মাঠের পানে
ছুটছে আবার কেহ।
গাছে গাছে পাখি ডাকে
কাঠটোকরা কাঠে যখন কাঠ
সোনার ধানে ভরে আছে
সবুজ শ্যমল মাঠ।
আমার গাঁয়ে এমন ছবি
আরো আছে কত
কোথাও খুঁজে পাবে নাকো
আমার গাঁয়ের মত।
আমার কাছে মধুর মতন
আমার গাঁয়ের বাড়ি
মন জুড়ে যায় এই গাঁ দেখে
সবুজ শ্যমল ভারি।
চারিদিকে শুধু ঠান্ডা হাওয়া বয়ে যায় ৷
শীতল হয় শরীর, মন হয়ে ওঠে সুশীতল এ সব গাছের ছায়ায়। কী মাদকতায় মজে যে গাছের ছায়ায় দিন কাটানো যায়,
কি সুন্দর এই গ্রামটি ৷
কি নাম এই গ্রামটির?
এই গ্রামটির নাম
===`দড়িপাড়া===
জামালপুর জেলার, জামালপুর থানার শ্রীপুর ইউনিয়নের মনোরম সুন্দর একটি গ্রাম ৷
এই গ্রামেই আমি ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠি ৷
আমাদের গ্রামে প্রাই সাড়ে চার হাজার লোকের বাস ৷
আমাদের গ্রামের লোকগুলো শান্ত প্রকৃতির৷ ধনী গরীব সব শ্রেণীর লোকজন বাস করে এই গ্রামে ৷এখানে দুঃখ-কষ্ট ,হাসি-কান্না সব মিলেই বিজড়িত ৷
কেউ হাসে,কেউ হাসাই ৷
কেউ কাঁদে,কেউ কাঁদায় ৷
কেউ পথ চলে,কেউবা পথ চলতে শেখাই ৷
এইতো গ্রামটির বৈশিষ্ট ৷
গ্রামটির তিনদিকে ধানের ক্ষেত ৷ তিনদিকেই বিশাল বিশাল বন্ধ (ধানের ক্ষেত) ৷ এপার থেকে চাইলে ওপার অস্পষ্ট দেখা যায় ৷এই নীরব গ্রামটিতে হাই স্কুল, প্রাইমারি স্কুল,মাদ্রাসা,কারিগরী কলেজ, মসজিদ সবি আছে ৷কোন কমতি নেই গ্রামটিতে ৷
এই গ্রামের রাস্তা গুলো আঁকা বাঁকা ৷ গ্রামটির পূর্ব-দক্ষিণ কোনে একটা বাজার ৷ দড়িপাড়া-রামকৃষ্ণপুর বাজার ৷ শুক্র ও সোমবারের দিন হল বড় বাজার ৷ বাজারের দক্ষিণ পাশেই আমার মনের মত জায়গাটি ৷ বাজারের দক্ষিণ দিকে রামনগর পর্যস্ত— একমাইল বন্ধ | বন্ধের বিতর দিয়ে এই রাস্তাটি চলে গেছে ৷
রাস্তার দুই পাশ দিয়ে মেহগুনি,নিম ও জাম গাছের সাড়ি ৷ দেখতে এত যে সুন্দর লাগে তা বলে বুঝানো যাবেনা কাউকে ৷
লম্বা একটা রাস্তা ৷ বিকেল বেলা মন মাতানো বাতাস বয়ে যায় ৷ যে কোন ঋতুতে সেখানে মৃদু বাতাস বয় ৷
ঐ রাস্তার সাথে যেন বাতাসের গভীর মিতালি ৷ রাস্তাটার সাথেই লাগানো পশ্চিম পাশে একটা মাছ চাষের ফিসারী ৷ ফিসারীটার মালিক হল আজিম স্যার ৷ আজিম স্যারের ফিসারী ৷ এই ফিসারীর পাড়ে আমার কেটে যায় আট বছরের 98% বিকাল বেলা ৷ কত বিকাল কেটেছে এখানে বসে থেকে ৷ গরমের সময় ঠান্ডা বাতাস খাওয়ার জন্য একটি বিকালও সেখানে যাওয়া মিস করি নাই ৷ আমি আর আমার বন্ধু আলাল সেখানে কত যে সময় কাটিয়েছি ৷ আলাল মাঝে মাঝে বলতো সোহাগের একটা নেশা হয়ে গেছে ৷ ঐখানে সোহাগের কতই যে ভাল লাগে ৷ আসলেই কত শান্তিই না পেতাম সেখানে ৷
সেখানে আমার বন্ধু আলমের সাথে কাটিয়েছি 2 বছর ৷ তখন আমি ক্লাস ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ি DR High School এ ৷ এক বেলা ভাত খাওয়া বাদ যেতে পারে কিন্তু বিকেলে সেই ফিসারীর পাড়ে যাওয়া বাদ যেত না ৷সন্ধ্যা থেকে শুরু করে রাত8-9 পর্যন্ত আমি আর আলম কত না সুখ-দুঃখের আলাপ করে কাটিয়েছি ৷ এমন কি কোন কোন দিন রাত 1-2 টাও বেজে গেছে ৷ কারন, সন্ধ্যার পর সেখানে এতটা নিরব অন্য কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না ৷
সন্ধ্যার আকাশে জ্বলে ওঠা হাজারো তারা সেখান থেকে পত্যক্ষ করা যায় ৷ রাতের আকাশে বেসে ওঠা চাঁদটা সেখান থেকে দেখলে চোখ জড়িয়ে যায় ৷ নির্জনতা সকল সময় বিরক্তিকর নয়, নিরব মুহুত্তগুলো অনেক সময়ই রাঙ্গায়। এখানে আমার
সাথে কথা বলে বয়ে চলা বাতাস আর চেনা-অচেনা পাখিরা।
সারাদিন, সারারাত। রাতের বেলায়
ঝিঁঝিঁপোকাদের কনসার্টে মন মেতে ওঠতো ৷
সন্ধ্যা রাতে জোনাকী পোকার আলোই মন মাতিয়ে ওঠতো ৷
চারদিকে শুধু জোনাকীর মনোরম দৃশ্য ৷ হাজারো তারার মেলা ঐ সদুর রাতের আকাশে ৷ নির্জন জায়গা এর মধ্যে মন মাতানো কোমল বাতাস ৷মাঝে মাঝে আলম বলতো, সোহাগ তোর সাথে যদি সারাটা জীবন এই নির্জন জায়গাই বসে কাটাতে পারতাম !!
রাতের বেলা নির্জন অন্ধকারে সেই দক্ষিণের বন্ধের মধ্যে আমি অনেক দিন আরবাঁশি (বাঁশের বাঁশি)বাজিয়েছি ৷ মাঝে মাঝে অন্ধকারে দিক ভুলে যেতাম ,আকাশে জ্বলে থাকা তারা গুলোকে চিহ্ন করে দিক চিনতাম ৷ কোন কোন দিন তারা(আমার বন্ধু) আমার সাথে যেত রেড়িও নিয়ে ৷ তারা রেড়িও শুনতো আর আমি বাঁশি বাজাতাম ৷ কুয়াশার দিন বেশি মজা হত ৷ কুয়াশার মাঝে নিজের শরীর নিজেই দেখা যেত না ৷ মাঝে মাঝে মূখে ফু আসতো না মানে বাঁশি বাজাতে পারতাম না ৷ তার পর কাপতে কাপতে বাড়ী ফিরে আসতাম ৷ এত আনন্দের মাঝে দিন গুলো ভালই কাটছিল ৷
প্রতিদিন স্কুলে যেতাম ৷ আমি কোন দিন স্কুলে যাওয়া বাদ দিতাম না ৷ আলম,শফিকুল আর আমি একসাথে পড়তাম ৷ স্কুলে আমরা অনেক মজা করতাম ৷ মাঠে বল খেলতাম ৷ শফিকুল ছিল ছোট , বৃদ্ধিটা এমন ছিল যে সামান্যতেই সবাই তাকে মারতে চাইতো ৷ তখন দৌড়ে আমার কাছে আসতো ৷আমার কাছে আসলে আর কেউ তাকে মারতো না ৷ আমি তাকে মার খাওয়ার হাত থেকে বাচাই ঠিক কিন্তু আমার কোন দুর্বল জায়গা পেলে সে একঠাসা দিয়ে দিত ৷ কিন্তু এতে রাগকরার কিছু ছিল না ৷
এটা হাসি ঠাট্রার মাধ্যমেই শেষ হত ৷
স্কুল ছুটির পর আমরা খাওয়া দাওয়া সেড়ে বিকালে বেড়াতাম ৷ আমাদের বেড়ানোর সীমানা ছিল হায়েতপুর,মনতলা, রামকৃষ্ণপুর,বড়টাল ও দড়িপাড়া নিজ গ্রামটা ৷ মনতলা আমরা সব চেয়ে বেশি বেড়ায়েছি ৷ সেখানে অন্যের আখের খেতে আখ চুরি করে খেয়েছি ৷ তুরমোজ খেয়েছি ৷ যখন আমরা কালিয়াকুড়ি গারোদের কাছে মার্শাল আর্ট শিখতাম তখন সবচেয়ে বেশি শসা খেয়েছি ৷ আবার অনেক লোকের দৌড়ানিও খেয়েছি ৷এগ্রাম থেকে ওগ্রামে কোন উদ্দেশ্য ছাড়াই ঘুড়ে বেড়ায়েছি ৷
নিজ স্বাধীন ছিলাম আমরা ৷যেদিকে ইচ্ছা ছুটে যেতাম ৷ কোন মানা ছিল না ৷ কোন বাধাও ছিল না ৷ দিন গুলো খুব আনন্দেই সাথেই কেটে যেত ৷
2 বছর পর আমরা যখন অষ্টম শ্রণিতে ওঠি তখন আলম চলে যায় তাদের পুরাতন বাড়ীতে ৷
সে সময়ে আমার প্রিয় বন্ধু ছিল
আলম
আলাল
শফিকুল
লোকমান
তারা
জুয়েল
আরো কয়েকজন |
আমরা সবাই মিলে বিকেলে বেড়াতাম ৷
লোকমান আর তারা বেশি লেখা পড়া করতে পারে নাই ৷ লোকমানের সমস্যা ছিল যে, তারা চার ভাই ৷ তার বাবা বলে লোকমানকে লেখাপড়ার খরচ দিবে কে ৷ আমার তিন ছেলে পড়াশুনা করে না ৷ ওকে টাকা দিলে আর তিন জন ঠকবে ৷ তাই ওর একা লেখাপড়া হবে না ৷ কি বুঝে যে লোকমানের বাবা এরকম কথা বললেন ৷ আমরা অনেক বলেছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি ৷ আমরা বন্ধুরা মিলে তার লেখাপড়ার কিছু খরচও দিতে চাই ৷ তার বাবা তাতেও রাজি নয় ৷ বন্ধ হয়ে গেল লোকমানের পড়াশুনা ৷
এদিকে তারা দর্জি কাজ করতো আর লেখা পড়া করতো ৷ কিন্তু ষষ্ঠ শ্রণিতে তার ভর্তি হওয়া হল না ৷
তার বাবা তাকে পড়ালেখা করাবে না ৷ আমরা বন্ধুরা মিলে তারার বাবাকে বললাম তার লেখাপড়া করার সুযোগ দিতে ৷ তারার বাবা বলে তাহলে দর্জির কাজ করবে কে ৷ কাজ না করলে টাকা ছাড়া পড়বে কি দিয়ে ৷ আমরা বললাম তারার বাবাকে যে,আপনি অর্ধেক টাকা দিবেন বাকীটা আমরা দিমো ৷ কিন্তু তাতেও কোন কাজ হল না ৷ অনেক চেষ্টা করেও পরে ব্যার্থ হলাম ৷ এভাবেই বন্ধ হয়ে গেল তারার পড়াশুনা৷
আমি তারা ও লোকমান সম্পর্কে কিছু কথা লিখলাম ৷ আমার লেখাপড়ে কোন কষ্ট পেলে আমি আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ৷ জুয়েল তো আগেই লেখাপড়া বাদ দিয়েছে ৷
যাই হোক তখনো আমাদের বন্ধুত্ব কিন্তু অটল ছিল ৷
আমরা বন্ধুরা মিলে কয়েকবার সমিতি করি কিন্তু টিকিয়ে রাখতে পারি নাই ৷ মাঝে মাঝে বন্ধুরা ঝগড়া ভাজতো ৷ রাগারাগী হত ৷ কিন্তু তাতে কোন সমস্যা নাই ৷ কারন, সুখের পরে দুঃখ,আর দুঃখের পর সুখ থাকবেই ৷
ইতি মধ্যে
আলম তাদের পুরাতন বাড়ীতে চলে আসার কিছুদিন পর শফিকুল ও ঢাকায় চলে যায় ৷ তখন আমি আলালের সাথে থেকেই দিন কাটাই ৷
আমার একটা খারাপ অভ্যাস ছিল বিকাল বেলা বন্ধুরা মিলে বেড়ানো ৷ আমি বাড়ীতে বেশি থাকতে পারতাম না ৷ ভাল লাগতো না ৷
একদিন বাজারে না আসলে মনে হত একবছর দরে যাইনা ৷ বন্ধুরা মিলে না বেড়ালে পেটে ভাত যেত না ৷ কত মিল ছিল বন্ধুদের মধ্যে৷ কিন্তু সেই দিনগুলি
আজ আর নেই ৷
একেক জন একেক কাজে ব্যস্ত ৷
কেউ ঢাকায়,
কেউ বাহিরে,
আবার কেউ কেউ বিয়ে করে সুখের সুখের সংসার করে দিয়েছে ৷
7-8 জন বন্ধু ছিলাম আমরা ৷ সবার আগে মফি বিয়ে করে ঢাকায় চলে গেছে ৷
তারা ও জুয়েল বিয়ে করে সংসার শুরু করে দিয়েছে ৷ আলম তাদের পুরাতন বাড়ীতে,শফিকুল ঢাকায়,লোকমান লেখাপড়া বাদ দিয়ে আমাদের সাথে আর থাকে না ৷
জীবনের সাথে যুদ্ধ করতে করতে আলাল আর আমি ভার্সিটিতে পা দিয়েছি ৷
এখন সেই বন্ধুদের সাথে দেখা হলে বলে
কেমন আসস?
কই যাস?
এর বেশি কথা হয়না
অথচ
একদিন সবার মনের কথা সবাই জানতো ৷
সবার বিপদে সবাই এগিয়ে আসতাম ৷
আর আজ কতটুকু ব্যবধান ৷
নিয়তির খেলা বুঁঝা বড় দাই৷
কাকে যে খোদা কিভাবে রাখে তা খোদাই ভাল জানে ৷ তাদের দেখলেই অতীতের সব কথা মনে পড়ে যাই ৷ কত স্মৃতি ভেসে ওঠে মনের কোনে ৷ ভূলাতো যাই না সেসব ফেলে আসা অতীত অতীত স্মৃতি গুলো ৷
কিছু অনুভূতির কথা কখনও
কাউকে বলা যায়না |
কিছু কষ্ট থাকে বুকের খুব গভিরে
যা কখনও চোখের জল হয়ে
বের হয়ে আসেনা !
কিছু কথা থাকে যা শব্দে সৃষ্টি করেনা
সব পথের শুরু আছে কিন্তু
অনেক পথের শেষ থাকে না ৷
অনেকেরই পথ এক,
সবার লক্ষ্য অভিন্ন ৷
তবু মনকে সান্তনা দেই
আমি হাসতে ভালবাসি, কাঁদতে নয়...
আমি কষ্ট পেতে ভালবাসি, কষ্ট দিতে নয়...
আমি সব ভুলতে পারি কিন্তু
বন্ধু তোমাদেরকে নয়..
বর্তমানে আমার ভাল বন্ধু হিসাবে আলাল ই আছে ৷ আমি যখন ক্লাস তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ি তখন থেকে আলাল আমার বন্ধু ৷ তখন থেকেই আমি আলালদের বাড়িতে যাই ৷ আলালের মা আমাকে খুব ভালবাসে ৷ আলালদের বাড়িতে গেলে তার মা না খেয়ে আমাকে আসতে দেয় না ৷ তাদের বাড়ীর সবাই আমাকে খুব ভালবাসে ৷
বর্তমানে বাহিরে থেকে লেখাপড়া করছি ৷ গ্রামে গেলেই সেই আগের স্মৃতি গুলো বেঁসে ওঠে ৷ মন সেই আগের দিন গুলো ফিরে পেতে চাই ৷
সেই ফিসারীর পাড়ে বিকাল বেলা একা বসে বসে ভাবছি!!!আস্তে আস্তে সবাই সবার কাজে ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছে৷ সবাই সবাইকে ছেড়ে দুরে চলে যাচ্ছে ৷ একদিন এপৃথিবীটাও ছেড়ে চলে যাবে! !!
এখনো নির্মল বাতাসে
কত ঢেউ চলে যায়
আসেনাতো ফিরে
তেমনি আমিও হারিয়ে যাব
আসবোনা কভূ ফিরে,
ঐ চাঁদ ঐ তারা
ঐ আসমান
সবি রবে আগের মতোই
থাকবোনা আমি শুধুই
খনিকের মিছে এ জীবন ৷
আলাল রাস্তা থেকে জোরে জোরে ডাকছে,
সোহাগ……….. সোহাগ…….তুমি কই…………?
আমি এখানে,
তুমি ওখানে একা বসে কি করছো?…
গান শুনছি,,
কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই…
আজ আর নেই…
কোথায় হারিয়ে গেল সোনালি দিনগুলো
সেই…
আজ আর নেই…
সোহাগ,দড়িপাড়া
01727509451
                                                               
▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓
░░░░░░░░░░░সমাপ্ত░░░░░░░░░░░
▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓

No comments:

Post a Comment