কম্পিউটার ভাইরাস 2 - ontechbd.com

Latest

Alive for Technology

Tuesday, July 2, 2019

কম্পিউটার ভাইরাস 2

কম্পিউটার ভাইরাস কি ?
কম্পিউটার ভাইরাস মূলত একধরনের প্রোগ্রাম যা আপনার অগোচরে আপনার কম্পিউটারে চলবে এবং আপনার কোনো আদেশ সে মানবে না। মূলত ভাইরাস গুলো তাদেরকে কপি করতে পারে , যার মাধ্যমে এরা ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায়। ভাইরাস মূলত ৭ প্রকার (যদিও ভাইরাস কত প্রকার তার কোনো স্টান্ডার্ড নেই)।


১। Boot viruses: এই জাতীয় ভাইরাসগুলো মূলত হাডড্রাইভের মাস্টার বুট রেকর্ডস (MBR) কে আক্রান্ত করে থাকে । বুট রেকর্ড প্রোগ্রাম অপারেটিং সিস্টেমকে র্যা ম / ম্যামোরী তে লোড করে। এই ভাইরাসগুলো বুট রেকর্ডকে হার্ডডিস্কের অন্য পার্টে লিখে দেয় অথবা বুট রেকর্ড ফাইলকে ওভার রাইট করে দেয়। এসব ক্ষেত্রে দেখা যায় যে অপারেটিং সিস্টেম লোড হয়ার সময় মেমোরীতে ভাইরাস নিয়েই লোড হয়। আর ভাইরাস একবার মেমোরীতে লোড হয়ে গেলে তা তার কোড ইন্সট্রাকশন অনুসারে যে কোন কাজ করতে পারে। এখেত্রে কম্পিউটার থেকে ভাইরাস রিমুভের জন্য অন্য হার্ডডিস্ক থেকে বুট করে ম্যানুয়ালী / কোন এন্টিভাইরাস প্রোগ্রাম দিয়ে স্কান করে কাজ করতে হয়। এর জন্য মূলত HBCD / LIVE OS ব্যবহার করা হয়।


২। Program viruses: এই টাইপের ভাইরাস গুলো এক্সিকিঊটেবল ফাইলগুলোকে আক্রান্ত করে থাকে ( যেমনঃ .com , .exe, .ovl, .DRV,.SYS, .Bat) যখন আক্রান্ত ফাইলগুলো চালানোর জন্য মেমোরীতে লোড করা হয় তখন সেগুলো ভাইরাস সহ মোমোরীতে লোড হয়ে যায় , আর ভাইরাস তার কাজ করতে পারে। তবে এই ভাইরাস গুলো বুট ভাইরাসগুলো থেকে ভালো, কারন এগুলোকে ম্যানুয়ালী / এন্টিভাইরাস প্রোগ্রাম দিয়ে সহজে রিমুভ করা যায়।


৩। Multipartite viruses:এই ভাইরাসগুলোকে হাইব্রিড ভাইরাস বলা হয় , এগুলো প্রোগ্রাম ভাইরাস আর বুট ভাইরাসের সমন্ন্যয়ে গঠিত হয়ে থাকে। যখন এর প্রোগ্রাম ভাইরাসটি রান করে তখন সে মাস্টার বুট রেকর্ড কে আক্রান্ত করে ফেলে । এই ভাইরাসগুলো বেশ যন্ত্রনা দায়ক , কারন একবার রান হয়ে গেলে এরা এক্সিকিউটেবল ফাইলগুলকে আক্রান্ত করে ফেলে , যার ফল সরুপ পুরো অপারেটিং সিস্টেম আক্রান্ত হয়ে যায়। এই জাতীয় ভাইরাস রিমুভ করার জন্য সকল ফাইল ফরম্যাট করে দিতে হয় , অথবা অন্য অপারেটিং (যেমনঃ লিনাক্স এর যে কোনো ডিস্টো ) দিয়ে এক্সিকিউটেবল ফাইলগুলো কে আর ভাইরাসের সোর্স গুলোকে ডিলেট করে দিতে হয়।


৪। Stealth viruses:এই ভাইরাস গুলো স্পেশালভাবে তৈরি করা হয়ে থাকে যাতে এন্টিভাইরাস প্রোগ্রাম এদেরকে ডিটেক্ট করতে না পারে। এদের অধিকাংশই সাধারনত হার্ড্ডিস্কের হেডকে রিডাইরেক্ট করে দেয়। অথবা অন্য সেক্টর রিড করার জন্য ফোর্স করে। যার ফলস্রুপ যে আপডিটেক্টেবল হয়ে যায়। এই জাতীয় ভাইরাস গুলো মানুষের দ্বারা বা ম্যানুয়ালী খুজে বের করা কঠিন , এখন অনেক প্রকার ভালো কার্যোক্ষম অন্টিভাইরাস আছে যারে এদের ধরতে পারে।


৫। Polymorphic viruses:এই জাতীয় ভাইরাসগুলো তাদের সোর্স কোড একটি থেকে আরেকটিতে নিয়ে যায়। আর এর জন্য এরা আক্রান্ত ফাইলগুলো ব্যবহার করে থাকে। প্রতিটি ইনফেক্টেড ফাইলএর সোর্স কোড ভিন্ন হওয়ার কারনে এদের ডিটেক্ট করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। যদিও এদেরকেও নানা এন্টিভাইরাস প্রোগ্রাম দিয়ে ডিটেক্ট করা যায়। তবে এটি এন্টিভাইরাসের ধরনের উপর নির্ভর করে।


৬। Macro viruses:এই ভাইরাস গুলো তুলনামূলক ভাবে নতুন , এরা টেম্পলেট / ডকুমেন্টের ম্যাক্রোকে আক্রান্ত করে থাকে। তাই দেখা যায় যখন কেউ ডকুমেন্ট খুলো তখন সে অই ভাইরাস দিয়ে আক্রান্ত হয়ে যায়। আর একবার আক্রান্ত হয়ার পর যতবার কোন ডকুমেন্ট খোলা হবে ততবারই সে ডকুম্নটগুলো আক্রান্ত হবে।


৭। Active X viruses:অধিকাংশ মানুষ ই জানে না কিভাবে ActiveX and Java controls কনফিগার করতে হয়। যার ফলে অজানা ভাবে সিকুইরিটি হোল তৈরি হয়ে যায়। এর ফলে দেখা যায় জাবা এপেলেট গুলো সহজেই কম্পিঊটারে রান করতে পারে। এবং সহকজেই ভাইরাস কোড / প্রোগ্রাম ডেলিবারী দিতে পারে। ব্রাউজারে ActiveX and Java controls ডিজেবল করে সহজেই এদের কাছ থেকে বাঁচা যায়।


No comments:

Post a Comment